লাহোরের গাদ্দাফি

পিএসএলের ২৪তম ম্যাচে মোহাম্মদ হারিসের বিধ্বংসী ইনিংসের উপর ভর করে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে ১০ রানে হারিয়েছে পেশাওয়ার জালমি!

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন পেশাওয়ার জালমি অধিনায়ক ওয়াহাব রিয়াজ। পেশাওয়ার জালমির দলে আসে ১ পরিবর্তন। জালমির হয়ে মুহাম্মদ উমরের পরিবর্তে দলে জায়গা পান ইয়াসির খান। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের দলেও আসে মোট ৫ পরিবর্তন।

ইসলামাবাদ অধিনায়ক শাদাব খান, অ্যালেক্স হেলস, জিশান জমির, মুহাম্মদ আখলাক এবং হাসান আলির বদলে দলে যুক্ত হন মুবাশির খান, দানিশ আজিজ, মুহাম্মদ মুসা, মার্চেন্ট ডি লাং এবং জাহির খান। এই দিন ইসলামাবাদের হয়ে অধিনায়কত্ব করেন অলরাউন্ডার আসিফ আলী। 

১ম ইনিংস:

পেশাওয়ার জালমির হয়ে ওপেনিং করতে নামেন আফগান ওপেনার হাজরাতুল্লাহ জাজাই এবং মোহাম্মদ হারিস। পেশাওয়ারের হয়ে মোহাম্মদ হারিস এক দানবীয় সূচনা করেন। পাওয়ার-প্লের ৫ম ওভারেই মাত্র ১৮ বলে ফিফটি তুলে নেন মোহাম্মদ হারিস, যা পিএসএল সপ্তম আসরে জেসন রয় এবং টিম ডেভিডের ফিফটির পাশাপাশি তৃতীয় দ্রুততম।

দুই জনে মিলে ৭৩ রানের জুটি করে ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে আফগান ওপেনার হাজরাতুল্লাহ জাজাই ১২ বলে ১৩ রান করে সাজ ঘরে ফিরলে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভার শেষে পেশাওয়ার জালমির সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটের বিনিময়ে ৭৪ রান। তারপর, ইয়াসির খানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে বড় লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু,  ইনিংসের ১০ম ওভারে ওয়াকাস মাকসুদের শিকার হয়ে ৩২ বলে ৭০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলে মোহাম্মদ হারিসের বিধ্বংসী ইনিংস থেমে যায়।

এরপর, নিয়মিত বিরতিতে ইয়াসির খান ৩৫, শারফেইন রাদারফোর্ড ১৬, লিয়াম লিভিংস্টোন ৯, বেন কাটিং ও অধিনায়ক ওয়াহাব রিয়াজ ০ রানে আউট হলেও শোয়েব মালিকের ২৩ বলে ৩৮ রানের ক্যামিও ইনিংসের উপর ভর করে ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রানের বিশাল পুঁজি পায় পেশাওয়ার জালমি। পেশাওয়ারের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ বলে ৭০ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ হারিস। ইসলামাবাদের হয়ে ৪ ওভার করে ৩৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন ফাহিম আশরাফ। 

২য় ইনিংস:

২০৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইসলামাবাদের হয়ে এক ঝড়ো ইনিংসের সূচনা করেন দলের আফগান ওপেনার রাহমানুল্লাহ গুরবাজ। কিন্তু, ইনিংসে ৪র্থ ওভারে রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ১৯ বলে ৪৬ রান করে সালমান ইরশাদের শিকার হলে তার বদলি হিসেবে নামা এবং দলে সদ্য ডাক পাওয়া দানিশ আজিজ ৩ বলে খেলে মাত্র ০ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন।

পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড সংগ্রহ করে ২ উইকেটের ব্যবধানে ৬৮ রান। তারপর, মুবাশির খান এবং আজম খান দলকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু, ইনিংসের ৯ম ওভারের শেষ দিকে ১৯ বলে ৪৮ রান করে আউট হলেও আজম খান ইনিংসের ১২তম ওভারে ২৭ বলেই নিজের ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন।

এরপর, লিয়াম ডসন, অধিনায়ক আসিফ আলী ও ফাহিম আশরাফরা আউট হলেও আজম খান তার ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু, ইনিংসের ১৯তম ওভারে আজম খান ৪৫ বলে ৮৫ রান করে পেশাওয়ার জালমি অধিনায়ক ওয়াহাব রিয়াজের শিকার হলে হোঁচট খায় ইসলামাবাদ এবং মার্চেন্ট ডি লাং ও মুহাম্মদ মুসা দলকে জেতানোর চেষ্টা করলেও জেতাতে ব্যর্থ হন। ফলে, ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ করে থামে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।

পেশাওয়ার জালমি পায় ১০ রানের ব্যবধানে আসরের ৫ম জয়। ইসলামাবাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ বলে ৮৫ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেললেও দলকে জেতাতে পারেননি আজম খান। পেশাওয়ারের হয়ে ৪ ওভার করে ২৯ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট সংগ্রহ করেন সালমাম ইরশাদ।

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ : মোহাম্মদ হারিস [৭০(৩২)]

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

স্কোর:

পেশাওয়ার জালমি – ২০৬/০৮ (২০ ওভার)

মোহাম্মদ হারিস ৭০(৩২) ; শোয়েব মালিক ৩৮(২৩)

ফাহিম আশরাফ ৩/৩৩ (৪ ওভার) ; ওয়াকাস মাকসুদ ২/৩৪ (৪ ওভার) 

ইসলামাবাদ ইউনাইটেড – ১৯৬/০৭ (২০ ওভার)

আজম খান ৮৫(৪৫) ; রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ৪৬(১৯)

সালমান ইরশাদ ৩/২৯ (৪ ওভার) ; ওয়াহাব রিয়াজ ২/২৬ (৪ ওভার)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top