মুখের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার উপায় – আপনার মুখ কি নিস্তেজ, ধূসর এবং প্রানহীন দেখায়? আমাদের এই বর্তমান সময়ের ভারসাম্যহীন জীবনে এটি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে আপনি যদি দীপ্তিহীন এবং ক্লান্ত চেহারা থেকে মুক্ত হয়ে মুখের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার উপায় জানতে চান তাহলে তাহলে এই লেখাটা আপনার জন্য।
আমরা এখানে ৫টি এমন ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো যা আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যকর ও প্রানবন্ত আভা এনে দেবে।
মুখের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার উপায়
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং খাদ্যাভাস চেহারার উপর প্রভাব বিস্তার করে। এক পর্যায়ে আমরা অনুভব করতে পারি আমাদের চেহারার উজ্জ্বলতা আগের মতো নেই। যাই হোক মুখের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার উপায় গুলোর মধ্যে ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো সবচেয়ে কার্যকর এবং সহজ। আসুন বিস্তারিত দেখি।
মুখের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সেরা ৫ উপায় ভিডিও তে দেখতে এখানে ক্লিক করুন!
লেবু:
লেবুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট ত্বককে সুস্থ্য দেখাতে ও উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। এতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যাসকরবিক অ্যাসিডও ত্বককে উজ্জ্বল করে। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ত্বকে সামান্য জ্বালাপোড়ার অনুভূতি সৃষ্টি হতে পারে। এই অবস্থা সৃষ্টি হলে দ্রুত সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
পদ্ধতি: একটি পাত্রে লেবুর রস নিয়ে তাতে একটি তুলোর প্যাড ভিজিয়ে রাখুন। এরপর মুখে এই প্যাড ব্যবহার করে হালকাভাবে লেবুর রস লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করার পরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
>> লেবু মধু দিয়ে রুপচর্চা করুন ঘরোয়া উপায়ে!
টক দই এবং মধু:
মধুর ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্টগুলো ত্বককে নরম, স্নিগ্ধ এবং উজ্জ্বল করে তোলে। তাছড়া দই ত্বকের নিস্তেজতা দূর করে, ত্বককে অবাঞ্চিত কালো দাগ মুক্ত করে।এই দুইটি উপাদান মিলে ত্বক উজ্জ্বল ও একটি গ্লোইং আভা তৈরি করে।
পদ্ধতি: সমান পরিমাণ মধু এবং টক দই একটি ছোট পাত্রে নিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে নিন। আপনার মুখ ভালভাবে পরিস্কার করার পরে এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপরে পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিন দিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
কফি:
কফিতে থাকা ক্যাফেইন শুধু ত্বকের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিই করে না বরং এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ত্বককে স্বাস্থ্যকর ও মসৃণ দেখানোর জন্য সপ্তাহে দুই বার এক্সফোলিয়েট করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
পদ্ধতি: কিছু পরিমান কফির সাথে সামান্য চিনি এবং নারকেল তেল মিশিয়ে একটি স্ক্রান তৈরি করুন। এটি ব্যবাহার করে মুখে আলতোভাবে অন্তত ৫ মিনিট ধরে স্ক্রাব করুন এবং পরিস্কার স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরপর মুখে একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
অ্যালোভেরা:
এই উদ্ভিদটি ত্বকের সবচেয়ে ভাল বন্ধু। এর জেলে থাকা টাইরোসিনেজ শুধু হাইপার- পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে না, বরং স্বাস্থ্যসম্মত উজ্জ্বল চেহারা অর্জন করতে সাহায্য করে।
পদ্ধতি: এটি ব্যবহার করা খুব সহজ। এর পাতাতে থাকা জেলটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
শসা:
এটিতে থাকা ভিটামিন সি এবং অন্যান্য যৌগ ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। তাছাড়া এই অতিরিক্ত সুবিধা হলো এটি একটি শীতলকারী এজেন্ট।
পদ্ধতি: অর্ধেক শসা এবং এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল একসথে ব্লেন্ড করে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখার পর পরিস্কার স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
শেষ কথা
এখানে মুখের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার উপায় সম্পর্কে যে ঘরোয়া পদ্ধ্যতিগুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো বেশ কার্যকর হিসাবে প্রমাণিত। আপনি চাইলে এর যে কোন একটি বা কয়েকটি একত্রে অনুসরণ করতে পারেন। তবে রূপচর্চার মতো বিষয়গুলোতে ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। নিয়মিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আবারো আপনার ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল এবং দীপ্তিময়।
ত্বকের যত্নে আরও পড়ুন…