Tofen syrup

TOFEN SYRUP কিসের ঔষধ? এর কার্যকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে জানুন গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য!

Tofen syrup কিটোটিফেন এর এন্টি-এলার্জিক গুণসম্পন্ন একটি ঔষধ। এটি 025%, 1 mg, 1 mg/5ml পরিমাপে থাকে। এটির জেনেরিক নাম মূলত কিটোটিফেন ফিউমারেট। Tofen syrup সােডিয়াম ক্রোমােগ্লাইকেট এর মত কিটোটিফেন হাঁপানী রােগের প্রতিরােধ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 

আজ এই আলোচনা থেকে আমরা Tofen syrup এর ব্যবহার বিধি, কার্যকারিতা, উপকারিতা, অপকারিতা, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানবো। 

Tofen syrup কোন রোগের ওষুধ  এবং এটি কেন খায় ?

কার্যত টোফেন সিরাপ এর এন্টি-এ্যানাফাইল্যাকটিক গুণাবলী রয়েছে। কিটোটিফেন ফিউমারেট  বেশ কিছু রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। যেমন: 

  • এলার্জিক সমস্যা রাইনাইটিস এবং কনজাংটিভাইটিস রোগের প্রতিষেধক
  • বিভিন্ন মাত্রার হাঁপানির প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে
  • হে-ফিভার এবং এলার্জি জনিত সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়ে থাকে
  • অসহিষ্ণু স্পর্শকাতরতা এবং চুলকানি রোগের প্রতিষেধক
  • মৌসুমী জনিত এলার্জি চোখ ওঠা এবং চুলকানি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে

Tofen syrup ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

টোফেন সিরাপ টি খাওয়ার নিয়ম রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং সিরাপের কার্যকারিতা উপর নির্ভর করে। চলুন আদর্শ পরিমাণ দেখে নেই। 

শিশুর জন্য সেবন মাত্রা ( দুই বছরের বেশি): ১ মিলিগ্রাম করে- দিনে ২ বার। 

প্রাপ্ত বয়স্কদের সেবন মাত্রা: ১ মিগ্রা. করে-দিনে ২ বার ।

বার্ধক্যদের সেবন মাত্রা: প্রাপ্ত বয়স্কদের মত  দেয়া যেতে পারে।  তবে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া অত্যাবশ্যক। 

** সকলের ক্ষেত্রে জটিল পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে ঔষধের মাত্রা ২ মিগ্রা. পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া অতীব জরুরী**

Tofen syrup কখন সেব্য 

টোফেন সিরাপ টি  মূলত দিনে ও রাতে সেব্য। তবে অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রয়োজন হতো সকালে এবং রাতে যে কোন সময় ব্যবহার করে থাকেন। গবেষণায় দেখা যায় যে সকল রোগীরা সকালে এবং রাতে এই সিরাপটি গ্রহণ করে থাকেন তারা অধিক সফলতা পেয়ে থাকেন।

যারা বেশি কার্যকর ফলাফল পেয়েছেন তারা অধিকাংশই খাওয়ার পরে টোফেন সিরাপ গ্রহণ করেছেন।

Tofen syrup এর উপকারিতা

আমরা ইতিমধ্যে জেনে গেছি যে টোফেন সিরাপ টি  একটি অ্যান্টি হিস্টামিন ঔষধ।  চলুন এই সিরাপ টির কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই-

  • কিটোটিফেন এর এন্টি-এলার্জিক গুণাবলী হাঁপানি রোগের প্রতিরোধ চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। 
  • কিটোটিফেন এন্টিহিস্টামিন কার্যকারিতা  বিশেষ ভূমিকা রেখে থাকে।
  • টোফেন সিরাপ টি হাঁপানির আক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর।
  • এই টোফেন সিরাপ টির কিটোটিফেন হিস্টামিনের কার্যকারিতা দীর্ঘসময় ধরে ফলাফল দিয়ে থাকে।  নিয়মিত ব্যবহারের বেশ কিছু দিন পর রোগীরা এই টোফেন সিরাপ টির দীর্ঘস্থায়ী কার্যকারিতা অনুভব করে থাকেন।
  • বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কিটোটিফেন মুখে সেবনের পর পুরোপুরি কোষ স্থিতিকারী ইনহেলারের মত কার্যকরী সেবা প্রদান করে। 
  • এই কিটোটিফেন ব্যবহারে হাঁপানী রোগীর নিরাময়ের সংখ্যা, তীব্রতা এবং স্থায়িত্ব দিনে দিনে কমে যায়।
  • টোফেন সিরাপ টি নিয়মিত ব্যবহারে রোগী সম্পূর্ণ হাঁপানীর আক্রমণ থেকে বেঁচে  থাকে। 

Tofen syrup এর  অপকারিতা

প্রতিটি ওষুধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে।  তবে এই সিরাপের তেমন কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া কথা খুব একটা শোনা যায় না।  কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই টোফেন সিরাপ প্রথমবার ব্যবহারের জন্য সামান্য কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।  উপকারিতার পাশাপাশি আসুন অপকারিতা গুলো জেনে নেই। 

  • মুখগহবরের শুষ্কতা দেখা দিতে পারে।
  • কিছুক্ষণ পরপর তন্দ্রাচ্ছন্নতা অনুভব হতে পারে।
  • সামান্য মাথা ঘোরা অনুভব হতে পারে।  কখনও কখনও এটা তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।

তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই যে, টোফেন সিরাপ টি  কয়েকবার ব্যবহারের পর এই সকল পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া আর দেখা যায় না।  তাই এই টোফেন সিরাপ টি প্রয়োজন মতো সেবন করা যেতে পারে।

Tofen syrup এর দাম কত?

এটি একটি 5 মিলিগ্রাম সম্পূর্ণ বোতলের সিরাপ। এটির বাজার মূল্য 65 টাকা। তবে স্থানভেদে মূল্যের অল্প কিছু কম-বেশি হতে পারে। 

 সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

Tofen syrup প্রয়োগে সতর্কতা

 বিভিন্ন ধরনের রোগীর শারীরিক অবস্থা বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।  এটাই আমাদের সকলেরই উচিত যে কোন ধরনের ঔষধ সেবনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম সর্তকতা অবলম্বন করা। এই সিরাপটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে যে সকল সতর্কতার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে-

  • টোফেন সিরাপ ব্যবহারের পূর্বে স্টেরয়েড নির্ভরশীল রোগীদের বেলায় পূর্ববর্তী চিকিৎসার অনুসরণ করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
  • টোফেন সিরাপ চলাকালীন সময়ে সংক্রমণের জন্য সুমির্দিষ্ট জীবাণুবিরােধী চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিৎ।  
  • এই কিটোটিফেন সিরাপ এর চিকিৎসা শুরুর কমপক্ষে দু’সপ্তাহ পর্যন্ত পূর্বের চিকিৎসা অনুসরণ করতে হবে। এই প্রক্রিয়া হাঁপানীর জটিলতা নিরসনে প্রযোজ্য। 
  • ঔষধ সেবন কারী ব্যক্তির স্বাস্থ্যের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।  ব্যক্তি বিশেষে কিটোটিফেন এর ক্রিয়া সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত  সকল প্রকার ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরতি নেওয়া উচিত।
  • যেকোনো ধরনের যানবাহন ও যন্ত্রপাতি চালনা সম্পর্কে রােগীদের সতর্ক হতে হবে। 
  • Tofen syrup টি  চলাকালীন সময়ে রোগীদের যেকোনো ধরনের অ্যালকোহল যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। 

অন্যান্য ঔষদের সাথে Tofen syrup এর বিক্রিয়া 

এই Tofen syrup টির সাথে অন্য ওষুধের কোন উপকারী প্রতিক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অন্য ওষুধের সাথে এই সিনেমাটির বিপরীত প্রতিক্রিয়া প্রমাণ পাওয়া গেছে সেটি হচ্ছে যেকোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক জড়িত ওষুধের সাথে এবং যোগ্য নয়।  

অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে শরীরের প্লাটিলেট কমে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।  এই জন্য এই সিরাপটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে  চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অতীব জরুরী।

সংরক্ষণ পদ্ধতি

টোফেন সিরাপ টি ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে স্টোর করার কথা বলা হয়েছে।

শেষ কথা

Tofen syrup একটি কিটোটিফেন এর এন্টি-এলার্জিক ঔষধ। রোগের মাত্রা ভেদে  সিরাপ টি প্রয়োজন এবং পরিমিত উপায়ে ব্যবহার করতে হবে। যেহেতু এই ওষুধের অন্য ওষুধের সাথে ক্ষতিকর  বিক্রিয়ার প্রভাব রয়েছে তাই ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত এই সিরাপ সেবন যোগ্য নয়। টোফেন সিরাপ সেবনের ক্ষেত্রে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত সকল সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। 

আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে ক্লিক করুন!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top